Microeconomics (Fundamental Course) by Marginal Revolution University (MRU): click here
For crystal-clear basics, can follow the YouTube channel Vellaichamy Nallasivam: click here
YouTube channel: Jacob Clifford- click here
YouTube channel: EconplusDal- Click here
10MS University Courses-Basic Economics: Click here
1. Types of Data
Types of Data Set Cross sectional, Time series and Panel Data - Financial Econometrics
Types of Data: Time Series, Cross Sectional and Pooled/Panel Data with English [CC]
2. Simple Linear Regression Introduction
2.2 Basic model overview
Econometrics # 2 : Regression: Mathematical and Econometric Model - Urdu/Hindi/ English [CC]
Econometrics # 3 :Ordinary Least Square (OLS) Method - Urdu / Hindi / English [CC]
Econometrics # 4 : Interpretation of Regression Model - Urdu / Hindi / English [CC]
Statistics 101: Linear Regression, Algebra, Equations, and Patterns
The Main Ideas of Fitting a Line to Data (The Main Ideas of Least Squares and Linear Regression.)
2.3 Ordinary Least Square (OLS) method
2.4 Error term
ERROR TERM| WHY ERROR TERM IS INCLUDED IN CLRM| LINEAR REGRESSION|ECONOMETRICS FOR UGC NETECONOMICS|
2.5 SSE, SSR, SST, Goodness-of-fit and more
Statistics 101: Linear Regression, Fit and Coefficient of Determination
Introduction to REGRESSION! | SSE, SSR, SST | R-squared | Errors (ε vs. e)
2.6 Standard Error & Residual Analysis
Statistics 101: Linear Regression, Understanding Model Error
Standard Error of the Estimate used in Regression Analysis (Mean Square Error)
Difference between the error term, and residual in regression models
2.7 Standardized and Unstandardized Coefficient
2.8 Concept of R-squared
Econometrics # 6 : R-squared in Regression Model - Urdu / Hindi / English [CC]
How to calculate a regression equation, R Square, Using Excel Statistics
2.9 Adjusted R-squared and Degree of freedom
Econometrics # 7: Adjusted R squared and Degree of Freedom in Regression - Urdu / English [CC]
Regression II - Degrees of Freedom EXPLAINED | Adjusted R-Squared
2.10 Assumptions of Classical Linear Regression Model (CLRM)
2.10.1 Zero conditional mean assumption
2.10.2 Heteroskedasticity & Homoskedasticity
2.10.3 Multicollinearity
Econometrics # 10 : Understand Multicollinearity in 20 min with English [CC] - Headphone recommended
2.10.4 Autocorrelation
2.11 Functional form
Econometrics # 17 : Understand the use of "LOG" in Regression Model with English [CC]- Complete
Econometrics # 24 : Understand the concept of Functional form of regression
2.12 Regression Testing (related to Chapter 3)
2.13 Review these Additional Topics
How To Calculate The Standard Deviation - Clearly Explained!
Calculating the Mean, Variance and Standard Deviation, Clearly Explained!!!
Econometrics # 25 : Difference between covariance, correlation, regression and causation
3. Multiple Linear Regression
Will be updated Soon
+ Recommended Channels
StatQuest for fundamental statistics & Econometrics Knowledge: Click here
YouTube Channel: Associate. Prof. Venoo Kakar- Click here
YouTube Channel: TJ Academy- Click here
Basic Accounting course: 10MS University Courses- Click here
Basic Finance course: 10MS University Courses- Click here
CGPA ভালো করার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ
CGPA ভালো করার পূর্বশর্ত হচ্ছে ভার্সিটি বা ইন্সটিটিউটের পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা, হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচ বোঝা আর সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। আমার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে নবীনদের জন্য রইলো গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা।
আশা করছি প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষা বা একাডেমিক এক্টিভিটির নম্বরবন্টন আপনারা ইতোমধ্যেই ভালোভাবে জেনেছেন। তবুও আমি শুরুতেই ছোট্ট পরিসরে পুরো সিস্টেমটির সামারি দিচ্ছি-
প্রতিটি কোর্সের পূর্ণ নম্বর হলো ১০০।
এই ১০০ নম্বরকে দুটো বড় ক্যাটেগরিতে (৫০-৫০ নম্বরে) ভাগ করে সার্বিক মূল্যায়ন করা হয়।
প্রচলিত ভাষায় ক্যাটেগরিগুলোকে আমরা বলে থাকি-
1st 50 এবং
Final 50
1st 50-র বরাদ্দকৃত নম্বর আবার নিচের ৪ টি সাবক্যাটেগরিতে বন্টিত হয়-
Attendence: ০৫ নম্বর
Class Test (CT): ১০ নম্বর
Assignment/Presentation: ১৫ নম্বর
Mid-Term Exam (Mid): ২০ নম্বর।
আর Final 50-র ৫০ নম্বর ৩ ঘন্টার পরীক্ষার মাধ্যমে নিরীক্ষিত হয়।
এই গেলো নম্বর বন্টনের হিসাব-নিকাশ। এবার আসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায়-
প্রতিটি কোর্সে A+ পেতে যা করতে হবেঃ
সবার প্রথমে GPA Structure সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে পুরো জিপিএ কাঠামোটা দেওয়া হলো (integar number) -
৮০+ _ Letter Grade A+_ Grade point 4.00
৭৫-৭৯ _ Letter Grade A _ Grade point 3.75
৭০-৭৪ _ Letter Grade A- _ Grade point 3.50
৬৫-৭০ _ Letter Grade B+ _ Grade point 3.25
৬০-৬৫ _ Letter Grade B _ Grade point 3.00
৫৫-৬০ _ Letter Grade B- _ Grade point 2.75
৫০-৫৫ _ Letter Grade C+ _ Grade point 2.50
৪৫-৫০ _ Letter Grade C _ Grade point 2.25
৪০-৪৫ _ Letter Grade D _ Grade point 2.00
৪০ এর নিচে _ Letter Grade F _ Grade point 0.00 (Fail)
তার মানে উপরের কাঠামোটা থেকে আমরা বুঝতে পারছি কোনো কোর্সে A+ পেতে হলে আপনাকে 1st 50 এবং Final 50 মিলে সর্বমোট ৮০ বা ৮০+ পেতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি 1st 50-র ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪৫ নম্বর পান তবে Final 50-র ৫০ নম্বর থেকে ন্যূনতম ৩৫ মার্কস তুলতে হবে A+ পেতে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার খেয়াল করুন-
৭৫-৭৯ নম্বর পেলে আপনি letter grade পাবেন A এবং grade point পাবেন 3.75 । অর্থাৎ কোনো কারণে যদি কোনো কোর্সে ৭৯ তে গিয়ে আপনার নম্বর ঠেকে যায় তবে আপনি কিন্তু ওই কোর্সে A+ পাবেন না, A নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তার মানে GPA এর transition numbers বা ৭৯, ৬৯, ৫৯ ইত্যাদি নম্বরগুলো ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। ১ নম্বরের জন্যই পুরো ০.২৫ Grade Point হারাতে পারেন বা পেতে পারেন অথবা পুরো এক grade নিচে নামতে পারেন বা উপরে উঠতে পারেন। আর CGPA এর বড় ব্যবধান তৈরী হয় এখানেই। সুতরাং A+ পেতে চাইলে আপনাকে ১ নম্বরের ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।
এবার কোনো কোর্সে ন্যূনতম ৮০ নম্বর পেতে যেসব করতে হবে সেগুলো জেনে নেইঃ
সবার প্রথমেই 1st 50-র ৫০ নম্বরে খুবই সচেতন হতে হবে। আর এই ৫০ নম্বরে একটু সচেতন হলে অনায়াসেই আপনি ৪০/৪০+ তুলে ফেলতে পারবেন। সেজন্য সেমিস্টারের শুরু থেকেই আপনার শুধু একটাই টার্গেট থাকা দরকার- সেটি হলো 1st 50-র ৫০ নম্বরের মধ্যে অবশ্যই ৪০ বা ৪০+ তোলা।
কিভাবে?
১। Attendance বা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকাঃ
আমরা আগেই জেনেছি Attendance এর জন্য ০৫ নম্বর বরাদ্দ। অর্থাৎ আপনি মোটামুটি প্রতিটি কোর্সের প্রায় সব গুলো ক্লাসে উপস্থিত থাকলে এবং roll call এ properly presence entry করতে পারলে ৫/৫ পাওয়া আপনার জন্য এক প্রকার নিশ্চিত। তবে এখানেও কিছু হিসাবের মারপ্যাঁচ আছে।
৯০% বা এর উপরে attendance থাকলেই কেবল ৫ নম্বর পাবেন,
৮৫%-৯০% এর নিচে থাকলে ৪.৫ নম্বর,
৮০%- ৮৫% এর নিচের জন্য ৪ নম্বর,
এভাবে % কমার সাথে সাথে নম্বর কমবে আরকি।
তবে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে তা হলো-
ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ন্যূনতম ৭৫% সার্বিক Attendance নিশ্চিত করতে হবে। ৭৫% এর নিচে Attendance নেমে গেলে জরিমানা দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার নিয়ম আছে। আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় ৬০%-৭৫% এর মধ্যে Attendance থাকলে নির্দিষ্ট টাকা জরিমানা দিলে তবেই ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর সার্বিক attendance ৬০% এর নিচে থাকলে আপনি ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
মোটামুটি একটি সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে সাধারণত ৩৫-৪০ টি ক্লাস হতে পারে। আবার কিছু কোর্সে একটু বেশি বা কম হতে পারে। ধরুন কোনো কোর্সের সর্বমোট ক্লাস যদি ৪০ টি হয় তাহলে ৩৬ টি ক্লাসে উপস্থিত থাকলেই আপনার ৯০% attendance হয়ে যাবে অর্থাৎ কোনো জরুরী কারণে সর্বোচ্চ ৩-৪টি ক্লাস মিস করা যেতে পারে। তবে মোট ক্লাস সংখ্যা যদি কম হয় তবে কিন্তু ৩ টা ক্লাস মিসই ৯০% এর নিচে attendance নামিয়ে দিতে পারে। এক সেমিস্টারে কোন কোর্সে কতটি ক্লাস হবে সেটা সুনির্দিষ্ট নয় তাই খুব জরুরী কারণ ছাড়া সর্বোচ্চ ২-৩ টির বেশি ক্লাস মিস দেওয়া ঠিক হবে না।
মোদ্দাকথা, Attendance এ ৫/৫ নম্বরের টার্গেট রাখতেই হবে A+ পেতে চাইলে।
২। গুরুত্ব সহকারে ক্লাসনোট তোলা বা ক্লাসে মনোযোগী থাকা এবং কোর্স টিচারের সাইকোলজি বা টিচিং ফিলোসোফি বোঝাঃ
ভার্সিটির যে কোনো পরীক্ষায় ক্লাসনোটের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও অর্থবহতা বিশালললললল।
ক্লাসে স্যার/ম্যাম যা পড়াবেন এর বাইরে প্রশ্ন একেবারেই হয়না সাধারণত। উপরন্তু, অনেক সময় পরীক্ষায় আসার মতো গুরুত্বপূর্ণ টপিকসগুলো সম্পর্কে ক্লাসেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধারণা পাওয়া যায়। এজন্য A+ পেতে চাইলে সিরিয়াসলি গুছিয়ে ক্লাসনোট নেয়া আর ক্লাসে একটু চোখ কান খোলা রেখে লেকচার শোনা বাধ্যতামূলক।
তবে আপনার যদি ক্লাসে স্যার/ম্যামের পড়ানোর সাথে তাল মেলাতে কষ্ট হয় বা দ্রুত ক্লাসনোট না নিতে পারেন; তাহলে অবশ্যই আপনার ক্লাসের যে সবচেয়ে ভালো ক্লাসনোট নেয়, তাঁর থেকে নিজ দায়িত্বে যোগাড় করে নেয়া উচিত। কিংবা আপনি নিজেই যদি ভালো ক্লাসনোট নিতে পারেন তবে আপনার বন্ধুদের সবার সাথে নিজে থেকেই শেয়ার করাটাও খুব ভালো কাজ হবে।
তবে উপদেশ থাকবে ক্লাসে একটু active থেকে, কোন reference materials থেকে কোন টপিকগুলো পড়ানো হচ্ছে, কতটুকু পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আপডেট থাকা এবং এর পাশাপাশি স্যার/ম্যামদের সাথে interaction রাখা।
আর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যে সম্মানিত শিক্ষক/শিক্ষিকা কোর্সটি নিচ্ছেন
তিনি কি ধরণের প্রশ্ন করেন?
কি ধরণের উত্তর প্রত্যাশা করেন?
কেমন নম্বর দেন?
ইত্যাদি সূক্ষ্ম তথ্যগুলো জেনে নেয়া বা বুঝে নেয়া। ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য কোর্স টিচারের সাইকোলজি বা টিচিং ফিলোসোফি জানা/বোঝাটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৩। একটু হিসাব-নিকাশ করে Class Test( CT) দেয়াঃ
সেমিস্টারের সময়কাল যদি ৬ মাসের আশেপাশে হয় তবে ৩ টা Class Test নেয়ার সুযোগ থাকে। ৩ টি Class Test নেয়া হলে সাধারণত আপনি যে দুটো Class Test এ সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন সে দুটোর average নম্বর নেয়া হতে পারে। অর্থাৎ ধরুন ৩ টি class test এর
১ম টিতে আপনি পেয়েছেন ৮ নম্বর
২য় টিতে ৭ নম্বর
৩য় টিতে ৫ নম্বর
Best দুটো CT-র গড় হিসেব করলে Class Test এ আপনার নম্বর দাঁড়াবে (৮+৭)/২= ৭.৫ নম্বর। আর এটিই হবে আপনার প্রাপ্ত নম্বর।
কিন্তু যদি পুরো সেমিস্টার জুড়ে ২ টি Class Test নেয়া হয় এক্ষেত্রে শুধু যে CT টিতে সবচেয়ে ভালো করেছেন সেটির নম্বর প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ভাগ্য খারাপ থাকলে ২ টির গড় নম্বরও হিসেব করা হতে পারে।
CT কয়টি নেয়া হবে আর নম্বর Best one নাকি average হিসেবে count করা হবে এটি নির্ভর করে কোর্স টিচারের উপর, কোর্সের সময়কালের উপর। সুতরাং, এ ব্যাপারে আগে থেকেই কোর্স টিচারের থেকে জেনে নেয়া ভালো।
তবে আপনার জন্য উপদেশ থাকবে, মোটামুটি সব Class Test গুলো একটু সিরিয়াসলি দেয়া। Class Test এ সাধারণত সিলেবাস ছোট হয়, আর ভালোমতো সিলেবাস কাভার করে ফেললে Mid-term পরীক্ষার আগে বেশি চাপ থাকে না। এছাড়া, কোনো একটি Class Test একটু খারাপ হয়ে গেলে পরের Class Test টি/গুলো বেশ ভালোভাবে দেয়া উচিত কারণ, best one বা average যেভাবেই হিসাব করা হোক না কেন পরের class test গুলোতে ভালো নম্বর পেলে সর্বশেষ প্রাপ্ত নম্বর বেশি হবে।
Class Test এর general format হচ্ছে-
১/২ টি বড় প্রশ্ন থাকতে পারে (দুটোই বা যে কোনো ১ টির উত্তর লিখতে হতে পারে)।
অনেক সময় লিখিত অংশের পাশাপাশি MCQ বা Short questions ধরণের প্রশ্ন হতে পারে।
সময় সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকে।
কবে কত নম্বর Class Test হবে এটি ক্লাসেই স্যার/ম্যামরা সবার সাথে কথা বলে ঠিক করেন।
পরীক্ষার আগেই কী format এ প্রশ্ন হবে সে ব্যাপারে কোর্স টিচারের থেকে বিস্তারিত জেনে নেয়া উচিত।
A+ পেতে হলে class test এ ১০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৭ নম্বর রাখাটা সেফ জোন।
৪। Assignment/Presentation:
Assignment বা presentation এর জন্য বরাদ্দ ১৫ নম্বর। সার্বিক নম্বরের বিচারে এটি বিশাল নম্বর। সাধারণত analytical কোনো টপিকের উপর assignment/presentation উপস্থাপন করতে হয়। একটু কেয়ারফুল থাকলেই এখানে ১৫ নম্বরের মধ্যে ১২/১৩ তোলা বেশ সহজ।
Assignment বা presentation এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো স্বাধীনভাবে নানা website, data ইত্যাদি ঘেঁটে করা যায়। অর্থাৎ কোনো কিছু মুখস্থ করে এসে ধরাবাঁধা সময়ে পরীক্ষা দিতে হয় না। বরং নানা জায়গা থেকে সাহায্য নিয়ে, প্রয়োজনে ক্লাসমেট বা সিনিয়র ভাইয়া আপুদের থেকে হেল্প নিয়ে বেশ সুন্দর assignment বা presentation উপস্থাপন করা সম্ভব।
তাই সরাসরি কোনো website বা material থেকে copy-paste না করে কিংবা অন্যের assignment হুবহু নকল না করে একটু পরিশ্রম করে ভালোমানের স্বতন্ত্র assignment বা presentation উপস্থাপন করতে পারলে ১২/১৩ নম্বর পাওয়ার প্রবল সম্ভবনা থাকে।
Assignment submission dead line মোটামুটি বেশ বড় সময় জুড়ে হয় তাই discipline maintain করে কাজ করলে খুব ভালেমানের assignment করা সম্ভব।
A+ পেতে হলে আপনাকে assignment এ সর্বনিম্ন ১২/১৩ নম্বর রাখতেই হবে।
৪। Mid-term Examination:
1st 50-র সবগুলো সাবক্যাটেগরির মধ্যে Mid-term এ সবচেয়ে বেশি নম্বর বরাদ্দ। তাই mid term পরীক্ষা হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং বেশিরভাগ সময় mid-term এর প্রাপ্ত নম্বরই আগাম ইঙ্গিত দেয় কোনো কোর্সে A+ পাওয়া সম্ভব নাকি সম্ভব না। Mid-term পরীক্ষাকে final এর warming up test হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।
General format of mid-term:
২০ নম্বরের পরীক্ষা; সাধারণত ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট বা ৭৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকে।
সাধারণত Exam Hall এ পরীক্ষা হয় তবে কোনো sit plan থাকে না। (ক্লাসরুমেও পরীক্ষা হতে পারে)।
সাধারণত ৪ টি প্রশ্ন থেকে ২ টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয় (প্রতিটি প্রশ্ন কয়েকটি সাবক্যাটেগরির প্রশ্নে ভাগ হতে পারে)।
২ টি প্রশ্নের উত্তরে ১০+১০ করে মোট ২০ মার্কস বরাদ্দ থাকে।
বিগত সালের প্রশ্ন দেখলে ভালো ধারণা পাওয়া সম্ভব।
Mid-term কবে হবে সেটি Notice এর মাধ্যমে জানানো হয়।
গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি জানা আবশ্যকঃ
কোনো medical emergency বা প্রমাণ নেই এরকম কোনো কারণ ব্যতিরেকে যদি কেউ mid-term পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে তবে প্রতিটি কোর্সের জন্য ৩০০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ফাইনালের আগে কোর্স টিচারের সাথে বা exam committee র প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে mid-term দিতে হবে।
এছাড়াও, Class test বা assignment এ বেশ flexibility পাওয়া যায়। একটি class test এ খারাপ করলে অন্য আরেকটি class test দিয়ে পুষিয়ে নেয়া যায়, assignment এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন source ঘেঁটে বা কয়েকজনের সাথে মিলেমিশে বা পরামর্শ করে করা যায় কিন্তু mid-term examination এ সেরকম কোনো flexibility র সুযোগ নেই। তাই mid-term এর জন্য বেশ আগেভাগেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া জরুরী।
Mid-term পরীক্ষায় ভালো করার উপায় হলো ক্লাসনোট খুব ভালোভাবে বুঝে পড়া। আগের বছরগুলোতে কেমন প্রশ্ন হয়েছে বা কোন কোন টপিক থেকে প্রশ্ন হয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জানা। Question pattern সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা নেয়া। আর most common topics গুলো বারবার চর্চা করা। কোর্স টিচারের টিচিং ফিলোসোফি বুঝে উত্তর লিখা।
A+ পেতে চাইলে mid-term এ অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৬ বা ১৬+ নম্বর রাখতেই হবে।
এই গেলো মোটামুটি 1st 50 এর ব্যাপারে কথাবার্তা।
এখন সবগুলো সাবক্যাটেগরির ন্যূনতম নম্বর যদি আমরা যোগ করি তাহলেঃ
Attendance - ০৫ নম্বর
Class test - ০৭ নম্বর
Assignment - ১২ নম্বর
Mid-term - ১৬ নম্বর
সর্বমোট নম্বর দাঁড়ায় - ৪০ নম্বর।
অর্থাৎ কোনো কোর্সে A+ পেতে হলে 1st 50-র ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বর রাখাটা সেফ জোন। ৪০ নম্বরের যত বেশি নম্বর উঠানো সম্ভব ততটা চেষ্টা করা উচিত। 1st 50 র নম্বর যত বেশি থাকবে ফাইনালে সে অনুপাতে একটু কম নম্বর পেলেও A+ পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে।
A+ পাওয়ার বেশিরভাগটাই নির্ভর করবে 1st 50 তে কত নম্বর তুলতে পেরেছেন সেটির উপর। এজন্য 1st 50 তে খুব গুরুত্ব দেয়া উচিত।
এবার আসি Final 50 র ব্যাপারে-
ফাইনাল হলো কফিনের শেষ পেরেক।
ফাইনাল পরীক্ষায় কত মার্কস তুলতে হবে সেটি নির্ভর করবে 1st 50 তে আপনি কত মার্কস তুলতে পেরেছেন সেটির উপর। 1st 50-তে ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪৫ নম্বর পেয়ে গেলে নির্ভার হয়ে ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া যায়। কারণ, A+ পেতে তখন আপনার লাগবে মাত্র ৩৫ নম্বর! মোটামুটি সব প্রশ্ন ভালোভাবে উত্তর দিয়ে আসতে পারলে ৩৫ নম্বর পাওয়া এক প্রকার নিশ্চিত।
1st 50-তে ৪০ নম্বর তুললেই A+ পাওয়ার খুব বড় সম্ভাবনা থাকে, ফাইনাল পরীক্ষা একটু ভালো দিলে, কিংবা বড় ধরণের কোনো ভুল না করলে বা কোনো প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে না আসলেই A+ পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু ঝামেলা লাগবে তখন যখন আপনি 1st 50-র ৫০ নম্বরে আশানুরূপ নম্বর তুলতে পারবেন না। 1st 50-র নম্বর যদি ৪০ নম্বরের নিচে বা ৩৫ নম্বরে গিয়ে ঠেকে তবে A+ তোলা একটু কষ্টকর। সেক্ষেত্রে ফাইনাল পরীক্ষা খুব ভালো হতে হবে যাতে আপনি ৪৫ এর মতো নম্বর তুলতে পারেন।
এজন্য সব সময় চেষ্টা করবেন প্রতিটি কোর্সের 1st 50-র ৫০ নম্বরের মধ্যে যেনো সর্বনিম্ন ৪০ নম্বর থাকেই, এর নিচে নেমে গেলে ফাইনাল পরীক্ষা ভালো করতে আদা জল খেয়ে নামার কোনো বিকল্প নেই।
ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো করার কৌশলঃ
Final পরীক্ষার Format হলো-
৬ টি বড় প্রশ্নের এর মধ্যে ৪ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য বরাদ্দকৃত নম্বর হলো ১২.৫ নম্বর।
সচরাচর বেশিরভাগ কোর্সেই এককভাবে একটি বড় প্রশ্ন না দিয়ে কয়েকটি সাবক্যাটেগরিতে (অনেকটা সৃজনশীল প্রশ্নের মতো) ভাগ করে প্রত্যেকটি প্রশ্ন করা হয়। প্রত্যেকটি সাবক্যাটেগরিতে উত্তরের ধরণের উপর নির্ভর করে নম্বর নির্ধারণ করা হয়। সর্বসাকুল্যে সাবক্যাটেগরি প্রশ্নগুলোর নম্বর যোগ করে ১২.৫ নম্বরই হয়।
তবে কিছু theoratical course গুলোর প্রশ্নতে সাধারণত সাবাক্যাটেগরিতে ভাগ করে প্রশ্ন করা হয় না। সোজাসাপ্টা একক প্রশ্ন থাকে।
বেশির ভাগ কোর্সে সাধারণত ৬ নম্বর প্রশ্নটি Short note বা টীকা ভিত্তিক প্রশ্ন হয়ে থাকে।
কোর্সের প্রশ্নের ধরণ সাধারণত যে সম্মানিত শিক্ষক/শিক্ষিকা কোর্সটি নিয়ে থাকেন অনেকাংশে তাঁর উপরই নির্ভর করে।
বিগত সালের প্রশ্ন দেখলে ভালো ধারণা পাওয়া সম্ভব।
পরীক্ষায় ভালো করতে যা করবেনঃ
ক্লাস নোট খুব ভালোমতো ফলো করতে হবে। ক্লাসে যেসব ম্যাথ বা প্রশ্ন বা টপিক গুরুত্ব সহকারে পড়িয়েছে সেগুলো খুব ভালোভাবে প্রাকটিস করতে হবে।
ইতোমধ্যে হয়ে যাওয়া class test, mid-term etc র প্রশ্নগুলোর সলভ খুব ভালোভাবে করতে হবে।
বিগত বছরগুলোর Question pattern জানার চেষ্টা করতে হবে। প্রশ্ন এনালাইসিস করে খুঁজে বের করতে হবে কোনগুলো গুরুত্বপূর্ণ টপিক এবং কেমন প্রশ্ন হতে পারে।
যে কোনো টপিক ভাসা ভাসা না পড়ে অনেক গভীরে গিয়ে পড়া উচিত, কারণ ৪ বছরে আপনি যতগুলো কোর্স পড়বেন সবগুলো সামহাউ কোনো না কোনো ভাবে ইন্টাররিলেটেড। সুতরাং একবার একটু সময় দিয়ে ভালোভাবে পড়লে ভবিষ্যতের অনেক পড়া বেশ সহজ হয়ে যায়।
গ্রাফগুলো বুঝে বুঝে প্রাকটিস করতে হবে। সামনের ৪ বছরে অসংখ্য বার অনেক চেহারার গ্রাফ আঁকতে হবে। তাই গ্রাফের চেহারা না মুখস্থ করে বরং বোঝার চেষ্টা করবেন কেন গ্রাফটা এমন হলো?
অবশ্যই পরীক্ষার হলে টাইম সেন্স ভালো থাকতে হবে। সময় স্বল্পতার অযুহাতে কোনো প্রশ্নের উত্তর একদম ছেড়ে আসা যাবে না।
কোর্স টিচারের টিচিং ফিলোসোফি বুঝে উত্তর লিখা উচিত এবং অবশ্যই প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর দেখে কত বড় লিখবেন সেটা নির্ধারণ করা জরুরী।
উত্তরে নতুনত্ব, সৃজনশীলতা আনতে পারলে ভালো নম্বর পেতে বেশ সহায়ক হবে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করতে পারলে খুব ভালো।
প্রশ্ন ও উত্তর পর্বঃ
১। 1st Semester এ CGPA-4 পেতে কি করবো?
উঃ আপনারা যে ৪ টি কোর্স পড়ছেন প্রতিটি কোর্সেই ৮০+ নম্বর তোলার চেষ্টা করুন। প্রতিটি কোর্সে A+ আনতে পারলেই CGPA 4 পাবেন ইন শা আল্লাহ।
২। Long-term এ ভালো CGPA ধরে রাখার জন্য কি করা উচিত?
উঃ প্রতিটি সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সে ৭০-৭৫+ নম্বর পাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যেতে হবে। আপনি শুধু সব সময় মাথায় রাখবেন যে সেমিস্টারে যে সব কোর্স পড়ছেন প্রতিটা কোর্সেই যেনো ৭০-৭৫+ এর উপর নম্বর থাকে। এজন্য ct, mid, assignment এবং final একটু হিসাব নিকাশ করে দিবেন এতটুকুই।
৩। Standard বা ভালো CGPA কত?
উঃ সার্বিকভাবে দেখলে CGPA 3.50 কে standard CGPA হিসেবে হয়তো ধরা যেতে পারে। কারণ বেশ কিছু চাকরিতে minimum requirement হিসেবে অনেকসময় 3.50 CGPA নির্দিষ্ট করা থাকে। আপনার জব প্রিফারেন্সের উপর নির্ভর করে হয়তো CGPA এর রেঞ্জ উঠা-নামা করতে পারে। তবে সাজেশন থাকবে 3.50 কেই cut CGPA হিসেবে গণ্য করা। প্রফেশনাল জীবনের শুরুতে CGPA র গুরুত্ব বিশাল। এজন্য ভার্সিটির রেজাল্ট ভালো করার ব্যাপারে উদাসীন হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
৪। কোনো কোর্সে Fail করলে এরপরের ধাপগুলো কি?
উঃ আপনি কোনো সেমিস্টারে যদি যে কোনো ১ টি কোর্সে fail করেন তবে reseat এ বসতে পারবেন। মানে নির্দিষ্ট জরিমানা পরিশোধ করে সেই কোর্সে আবার পরীক্ষা দিতে হবে। সাধারণত ফাইনাল পরীক্ষার দেড় থেকে দুইমাসের মধ্যে যাদের ১ টি কোর্সে fail আসে তাঁদের reseat দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি কোনো সেমিস্টারে ২ টি বা তাঁর বেশি কোর্সে Fail করেন আপনার reseat বা improvement নেয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না এবং আপনার কোনো রেজাল্টও আসবে না; আপনাকে readmission নিতে হবে। অর্থাৎ year drop বা semester drop দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, আমাদের Institute এ improvement নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
৫। CGPA তে বেশি ফোকাস দিবো নাকি জব প্রিপারেশনে?
উঃ অন্তত প্রথম তিন বছর CGPA কেই 1st priority রাখা উচিত। CGPA র প্রয়োজনীয়তা বিশাল এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করা উচিত।
এর পাশাপাশি software skill development এ মনোযোগ দেয়া আবশ্যক। Word, PowerPoint, Excel, STATA ইত্যাদি software এ অবশ্যই minimum বা pro level এর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
English vocabulary & writing এ দক্ষ হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা জরুরী। পাশাপাশি Mathematics এর basic ভালো করার জন্য practice করতে পারেন।
4th Year এ গিয়ে হয়তো আপনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন job preparation এ মনোযোগী হবেন নাকি অন্যান্য বিষয়ে।
৬। ভার্সিটির পড়ালেখা সহজ করার উপায় কি?
উঃ ব্যাচের সবাইকে একে অপরের পাশে থাকতে হবে সব সময়। নিজেদের ব্যাচ-গ্রুপে আপনারা classnotes শেয়ার করেন। কেউ কোনো প্রশ্নের সলভ করতে পারলে সবার সাথে আন্তরিকভাবে শেয়ার করেন। ক্লাসে যারা ভালো বুঝেন তাঁরা, যারা কম বুঝছে তাঁদের নিয়ে গ্রুপ স্টাডি সেশন করেন। এক জন আরেকজনের পাশে থাকলে ভার্সিটির পড়ালেখা অনেক অনেক সহজ হয়ে যায়। মনের সংকীর্ণতা বা Selfish মনোভাব পরিত্যাগ করে সব সময় একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করেন তবেই ভার্সিটি লাইফটা সুন্দর কাটবে।
আর আপনাদের সিনিয়র ভাইয়া আপুরাও যথেষ্ট আন্তরিক। যে কোনো প্রয়োজনে তাঁরাও সব সময় আপনাদের পাশে আছেন, থাকবেন ইন শা আল্লাহ।
ধন্যবাদান্তেঃ মাহিন জামান লাবিব (iHE-08)
তারিখঃ ২৮/১০/২০২২ (শুক্রবার)